দিল্লি আসতে চাও? হাউ ইজ দ্য জোশ? মন কী বাত-এ কোচির সিবিএসই-র কৃতী ছাত্রকে ফোন প্রধানমন্ত্রীর
মোদি জানতে চান, তুমি কি দিল্লি আসতে চাও? বিনায়ক জানায়, আমি হায়ার স্টাডির জন্য দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন জানিয়েছি।
নয়াদিল্লি: সিবিএসই
পরীক্ষায় কেরল থেকে ৫০০-য় ৪৯৩ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিনায়ক এম
মালিল। কিন্তু এর চেয়েও একটা মারাত্মক বড় চমক তার জন্য অপেক্ষায় ছিল। ‘মন
কি বাত’-এ তার কথা বলার সুযোগ মিলল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
সঙ্গে। কোচির জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ অভূতপূর্ব
সাফল্যের সঙ্গে শেষ করা বিনায়ককে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাউ ইজ দ্য
জোশ? বিনায়ক সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেয়, হাই স্যার।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা প্রসঙ্গে
ইদ্দুকি জেলার থোডুপুঝা-র বাসিন্দা বিনায়ক বলে, এমন কথা বলার সুযোগ আসবে
এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। দুদিন আগে যখন রেজাল্ট বেরল এক উচ্চপদস্থ
সরকারি আধিকারিক আমাদের ফোন করে জানান যে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানুষ
আমায় ফোন করে প্রশংসা জানাতে চান। ফোন আসার খানিকক্ষণ আগেই কেবলমাত্র জানতে
পারি যে, ফোনের অপর প্রান্তে থাকবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। আমি ভীষণ খুশি
হই এবং উত্তেজনায় কথা হারিয়ে ফেলি।
মোদি জানতে চান, তুমি কি দিল্লি আসতে চাও? বিনায়ক জানায়, আমি হায়ার স্টাডির জন্য দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন জানিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধেই বিনায়ক অন্যান্য
ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বলেছে, কঠিন পরিশ্রম এবং সময়ের ব্যবহার, এই দুটি
মন্ত্রেই বোর্ডের পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। বিনায়কের শখ-আহ্লাদ সম্পর্কেও
জানতে চান মোদি, জানতে চান সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগদান সম্পর্কে। বিনায়কের
উত্তর , আমি ব্যাডমিন্টন খেলতে ভালোবাসি। স্কুল থেকে প্রশিক্ষণও পেয়েছি।
আমরা অন্য জায়গায় খেলতে যাওয়ার অনুমতিও পেয়েছি। তবে আমাদের স্কুলে
ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা গ্যাজেট ব্যবহারের অনুমতি নেই।
বিনায়কের বাবা ছেলের সাফল্যের জন্য স্কুলের
ভূমিকার প্রশংসা করেন, জানান প্রিন্সিপাল স্টেলা ম্যাডাম-সহ অন্যান্য
শিক্ষকদের সাহায্য ছাড়া ছেলে এমন সাফল্যের মুখ দেখতে পারত না।
copied: এবিপি আনন্দ | 27 Jul 2020